ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনে আলোচনায় যারা

ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনে আলোচনায় যারা

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন হওয়ায় ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হাতে থাকবে ছাত্র রাজনীতির পতাকা।

এছাড়াও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সমূহ সম্ভাবনা, বিএনপির মাঠ দখলের চেষ্টা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক ছাত্র-রাজনীতি সক্রিয়সহ নানা কারণে হিসাব কষছে ছাত্রলীগের এ কমিটির জন্য।

আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড বলছে, এবারের নির্বাচন বিগত দুই নির্বাচনের তুলনায় সহজ হবে না। তাই এবারের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে ছাত্রলীগের। এছাড়াও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ডাকসু নির্বাচন দেওয়া এবং আগামী প্রজন্মের জন্য যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে বর্তমান সরকারের। সরকারের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ছাত্রলীগকে সবচেয়ে বেশি কাজ করতে হবে। যার কারণে এবারের ছাত্রলীগে জনপ্রিয় ও বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকা নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা নিজে যাচাই-বাচাইয়ের মাধ্যমে এবারের কমিটি দিবেন বলে জানায় দলীয় একটি সূত্র।

ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে সারাদেশকে সাতটি অঞ্চল হিসাব করা হয়। অঞ্চলগুলো হচ্ছে চট্টগ্রাম, উত্তরবঙ্গ, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটি এক সঙ্গে হওয়ায় অনেক সময় প্রার্থীদের তালিকা আলাদা করা হয় না। একই তালিকা থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

ফরিদপুর

বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল থেকে অঞ্চল থেকে এবার আলোচনায় আছে আইন সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত, সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন শেখ স্বাধীন শাহেদ, কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক রনি মাহমুদ, কর্মসংস্থান সম্পাদক রনি মোহাম্মদ, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক শরীফ বায়েজিদ ইবনে মোহাম্মদ কোতওয়াল, উপ-আইন সম্পাদক শাহেদ খান, সহ-সভাপতি কামাল খান, রাকিব হোসেন, হাজী মহাম্মদ মহসীন হলের সভাপতি শহীদুল হক শিশির, জিয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি হাসিবুল হোসেন শান্ত, উপ-প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক মেশকাত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য।

চট্টগ্রাম

তবে নেতা-কর্মীদের এবারের প্রত্যাশা, আয়তন ও জনসংখ্যার দিকে থেকে সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ এ অঞ্চল থেকে এবার কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নেতা হতে পারেন।

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বলছে, করোনা মহামারিতে জনপরিসরে নানা কাজের মাধ্যমে যারা সুনাম কুড়িয়েছেন এবং ছাত্রলীগের তৃণমূল পর্যন্ত যারা পৌঁছাতে পেরেছেন তারা এবার চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করছে,  এ অঞ্চলে এবার আলোচনায় আছেন করোনায় অক্সিজেন সরবরাহ করে আলোচনায় আসা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামবিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী। বিনামূল্য খাবার সরবরাহ করে আলোচনায় আসা ডাকসুর সাবেক সদস্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-সমাজসেবা সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাহসান আহমেদ রাসেল,সাংগঠনিক সম্পাদক,মোঃ নাজিম উদ্দীন, নাট্য ও বিতর্কবিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ, মাজহারুল ইসলাম শামীম, শিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ লিমন, উপ গণয‌োগোযোগ ও প্রশ‌ক্ষিণ ব‌িষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ন‌োমান।

উত্তরবঙ্গ

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, উপ-পরিবেশ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ সোহাগ, সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু হাসনাত সরদার হিমেল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সজীব নাথ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মেহেদি হাসান সানি, ক্রীড়া সম্পাদক মো. আল আমিন সুজন, উপ-দপ্তর সম্পাদক খাঁন মোহাম্মদ শিমুল প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ফরিদা পারভীন ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পল্লব কুমার বর্মন, উপ-দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবীব আলোচনায় আছেন।

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে এবার নেতৃত্বের দৌঁড়ে অন্তত ১০ জন কেন্দ্রীয় নেতা আছেন। আলোচনায় আছেন সহ-সভাপতি সোহান খান, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক মেহেদি হাসান তাপস, উপ-বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক রাশিদ শাহরিয়ার উদয়, সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সোহাগ, উপ শিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক নিয়ামত উল্লাহ তপন, সহ-সভাপতি খায়রুল ইসলাম আকন্দ, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সভাপতি সজিবুর রহমান সজীব, জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুরাপ মিয়া সোহাগ, উপ-স্কুল ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শাকের আহমেদ আল আমিন।

বরিশাল

 বরিশাল  অঞ্চল থেকে এবার আলোচনায় আছে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান আল ইমরান,ইয়াজ আল রিয়াদ,  সহ-সভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি তিলোত্তমা শিকদার, উপ-কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক খাদিমুল বাশার জয়, উপ-বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক সবুর খান কলিন্স, ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক ইমরান জমাদ্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহানুর রহমান সোহান।

খুলনা

বৃহত্তর খুলনা অঞ্চল থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাঁধন, মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহীন, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক তুহিন রেজা ও জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অতনু বর্মণ।

সিলেট

 সিলেট অঞ্চল থেকে অঞ্চল থেকে নেতৃত্ব আসার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। দীর্ঘ সময় পর কমিটি পেয়েছিল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন। এবার এ অঞ্চল থেকে প্রার্থী হিসেবে আছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক আল আমিন রহমান, জগন্নাথ হলের সভাপতি কাজল দাস।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনও এবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পদপ্রার্থী।

ঢাকা অঞ্চলের প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক জোবায়ের হাসান,এফ রহমান হলের সাবেক জিএস ও কেন্দ্রীয় উপ-দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাহিম, উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সাইপুল্লা আব্বাছী অন্তর, গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক শামীম শেখ তুর্জ, শহীদুল্লাহ হল ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ও কেন্দ্রীয় উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক মো. ইরফানুল হাই সৌরভ, উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক মো. নিয়ামত উল্লাহ তপন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তরপাড়া ও দক্ষিণপাড়া নামে অঘোষিত দুটি অঞ্চল রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা নিয়ে অঘোষিত উত্তরপাড়া। অন্যদিকে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত হলগুলো দক্ষিণপাড়া। গত দুই কমিটিতে নেতৃত্ব আসেনি বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত হলগুলো থেকে। তবে এবার সবার প্রত্যাশা বিজ্ঞান অনুষদের হলগুলো থেকে একটি নেতৃত্ব বের হয়ে আসবে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগে না আসলেও অন্ততপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটিতে বিজ্ঞান অনুষদ থেকে দায়িত্ব পাবেন বলে প্রত্যাশা দক্ষিণ পাড়ার। এ অংশে আলোচনায় আছেন ছাত্রলীগের উপ-বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক সবুর খান কলিন্স, আহসান পিয়াল, খন্দকার আহসান হাবিব, উপ-পরিবেশ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ সোহাগ

যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে আসতে পারে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব

এছাড়া, মেধা ও যোগ্যতার বিবেচনায় এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাবির বাইরে যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকেই ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদের কাণ্ডারি হতে পারেন। টানা প্রায় দেড় যুগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই নেতৃত্বে এসেছে সংগঠনটিতে। এর আগে অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে শীর্ষ দুই পদের দায়িত্ব পেয়েছেন অনেকে, যারা তাদের সময়ে বেশ আলোচিত নেতা ছিলেন। আসছে সম্মেলনেও এমন কোনো চমক থাকতে পারে।

ছাত্রলীগের ইতিহাসে আলোচিত লিয়াকত-বাবু (সভাপতি: লিয়াকত শিকদার, সাধারণ সম্পাদক: নজরুল ইসলাম বাবু) কমিটি। লিয়াকত শিকদার ঢাকা কলেজ থেকে এবং নজরুল ইসলাম বাবু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমিটিতে এসেছিলেন। ২০০৬ সালে তারা দায়িত্ব ছাড়েন। এরপর টানা ১৬ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদে দায়িত্বে এসেছেন। এ নিয়ে সংগঠনের মধ্যে খুব বেশি আলোচনা না থাকলেও অনেকেই চাইছেন নেতৃত্ব নির্বাচনে ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের চেয়ে যোগ্যতা এবং নেতৃত্বের গুণাবলীকে প্রাধান্য দেওয়া হোক।

তবে ছাত্রলীগের দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, ছাত্রলীগে প্রতিষ্ঠান বিবেচনা করে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয় না। যোগ্য এবং মেধাবী গুণাবলী সমৃদ্ধ নেতৃত্বকে নেতা নির্বাচন করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকেই ছাত্রলীগের নেতৃত্ব আসতে পারে। এক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠান, এমনকি মেডিক্যাল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান থেকেও আসতে পারে। যে যোগ্য, মেধাবী এবং সাহসী তাকে নির্বাচিত করা হয়। যোগ্যতাই এখানে সবচেয়ে বড় মাপকাঠি।

ছাত্রলীগের ইতিহাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেমন নেতৃত্বে এসেছে তেমনি অন্য প্রতিষ্ঠান থেকেও এসেছে। ছাত্রলীগের সোনালী অর্জনের মধ্যে সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ছিলেন বিএম কলেজের নেতা, সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা ছিলেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্বে ছিলেন; সাবেক সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ছিলেন মেডিক্যাল নেতা, তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জিএসও ছিলেন। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীমও ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই এসেছে নেতৃত্ব। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ছাত্রলীগকে সু-সংগঠিত করতে অন্য প্রতিষ্ঠান থেকেও নেতৃত্ব আসতে পারে।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনের নেতাকর্মীরা যান কালেভদ্রে। এনিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি সংগঠনের নেতাদের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে নিয়মিত যেতে বলেন।

নেতাকর্মীরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য থেকে কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করার কারণে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় দীর্ঘদিন ধরেই অকেজো পড়ে আছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই সব ধরনের কর্মকাণ্ড করেন। দিবসভিত্তিক কর্মসূচি পালন করতেই কেবল কেন্দ্রীয় নেতারা কার্যালয়ে যান। এই ধারা ২০০৬ সালে ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান রিপন ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার রোটনের সময় থেকে শুরু হয়, যা এখনও পর্যন্ত অব্যাহত আছে। এনিয়ে নেতাকর্মীরও ক্ষোভ আছে।

প্রতি বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষ পদের জন্য প্রার্থী হন। এবারও প্রার্থী অনেকে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও কেন্দ্রীয় ছা্ত্রলীগের উপ-মানবসেবা বিষয়ক সম্পাদক শেখ মেহেদী হাসান, বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জামিউস সানি। ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হৃদয় সাইদুর রহমান হৃদয়,ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ আল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক মো জাকিউল ইসলাম ফুয়াদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক তারেক আজীজ, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক হামজা রহমান অন্তর। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-প্রচার সম্পাদক আল আমিন শেখ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-সম্পদক নূরুল আফসার ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ঢাকা কলেজের আতিক হাসান রাব্বির নাম শোনা যাচ্ছে।

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top