কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সিদ্ধান্তে উত্তপ্ত আনন্দমোহন কলেজ, হল বন্ধ

 আনন্দমোহন কলেজ

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক সিদ্ধান্তে হঠাৎ অশান্ত হয়ে উঠেছে ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ আনন্দমোহন কলেজ। শুক্রবার (০৩ ডিসেম্বর) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আনন্দমোহন কলেজ ছাত্রলীগ ইউনিট জেলা ছাত্রলীগের অধীনস্থ ইউনিট হিসেবে বিবেচিত হবে। মূলত এর পরপরই উত্তপ্ত হয়ে উঠে কলেজটি।

একপর্যায়ে শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কলেজ কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য আবাসিক হল বন্ধ করার ঘোষণা করে। কলেজটির অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: আমান উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে ছাত্রদের এবং রোববার সকাল ৮টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে অনেকটা বাধ্য হয়েই হল ত্যাগ করছেন।

সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর রাতেই এক দফা বিক্ষোভ করে কলেজ ছাত্রলীগের একটি অংশ। পরে শনিবার সকাল থেকেই ওই নির্দেশনা বাতিলের দাবি জানিয়ে আবারও বিক্ষোভ করে ছাত্রলীগ। একপর্যায়ে মহানগর ও জেলা ছাত্রলীগের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ এবং হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এমন সিদ্ধান্তের পর এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। কলেজের অবস্থান নগরীর ভেতরে হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে জেলা ছাত্রলীগের অন্তর্ভুক্ত হয়। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগসহ সাবেক ছাত্রলীগের অনেক সিনিয়র নেতারাও। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন খোদ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম।

এমন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে এহতেশামুল আলম তার স্ট্যাটাসের একাংশে লিখেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এহেন সিদ্ধান্তের ফলে ময়মনসিংহ মহানগরে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায়ভার সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে নিতে হবে।

এদিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবিতে শনিবার সকাল থেকেই কলেজ ছাত্রলীগের একটি অংশ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় এবং কলেজ শাখাটি মহানগর শাখায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। দুপুর ১২টার দিকে ছাত্রলীগের আরেকটি অংশ হঠাৎ দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কলেজ ছাত্রলীগের একাধিক নেতার দাবি, জেলা ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ কলেজে এসে ককটেল বিস্ফোরণ মেরে হামলা চালিয়েছে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ফারুক হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top