অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় নয় : নবনিযুক্ত ডিএমপি কমিশনার

নবনিযুক্ত ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ। দেশে আদালত, বিচারিক প্রক্রিয়া আছে। যেসব অপরাধী জেল থেকে বের হচ্ছে তাদের কঠোর মনিটরিং করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরাধী ছোট হোক বড় হোক, কাউকে ছাড় নয়।

আজ ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ। দেশে আদালত, বিচারিক প্রক্রিয়া আছে। যেসব অপরাধী জেল থেকে বের হচ্ছে তাদের কঠোর মনিটরিং করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরাধী ছোট হোক বড় হোক, কাউকে ছাড় নয়।

আজ ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ঢাকা একটি মেগাসিটি। ৩০৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই ঢাকা শহরে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৭৩ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। যা যেকোনো শহরের তুলনায় সর্বোচ্চ। এই শহরের পুলিশিং বড় চ্যালেঞ্জ ও জটিল প্রক্রিয়া। তারপরও ডিএমপি সৃষ্টির পর থেকে অত্যন্ত দক্ষতা ও যোগ্যতার সঙ্গে জনগণের পাশে রয়েছে, দায়িত্ব পালন ও সমস্যার সমাধান করে আসছে।

হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশের নিত্য-নৈমিত্যিক কাজ চুরি-ছিনতাই ডাকাতি নিয়ন্ত্রণ করা, জনশৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। তবে বৈশ্বিক অবস্থা ও প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে নতুন সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে সাইবার ক্রাইম। এই সাইবার অপরাধ দমনে বিভিন্ন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে ডিএমপি। আজ থেকে ১৫ বছর আগের তুলনায় এখন ঢাকার চিত্র অনেক ভিন্ন। আমরা এখন দেখতে পাই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভার, মেট্রো রেল। এই যানজটের নগরী ঢাকায় অট্টালিকা প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে। রাস্তা কিন্তু কমেছে। জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী ঢাকায় দরকার ৭৫ বর্গ কি.মি. সড়ক। সেখানে আছে ২৮ বর্গ কি.মি. সড়ক। সুতরাং যানজট এই শহরের বড় সমস্যা।

আরও পড়ুন :
৯৮ শতাংশ সড়কই হাইওয়ে পুলিশের তত্ত্বাবধায়নের বাইরে
তিনি আরও বলেন, ২ কোটি ২৪ লাখ জনগণের জন্য আমাদের জনবল মাত্র ৩৪ হাজার। তবুও ডিএমপি দক্ষতা ও যোগ্যতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চলেছে।

বিট ও কমিউনিটি পুলিশিংকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই শহরকে নিরাপদ ঢাকা, বেটার ঢাকা গড়ার লড়াই চালিয়ে যাবো। ঢাকাকে আইনশৃঙ্খলা, জনশৃঙ্খলার দিক দিয়ে একটি নিরাপদ ও শক্তিশালী শহর হিসেবে গড়তে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। এ জন্য সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।

শীর্ষ সন্ত্রাসী নাছির, লম্বু সোহেল, মামুনরা আন্ডারওয়ার্ল্ডকে অস্থির করে তুলেছে। সর্বশেষ তেজগাঁওয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নতুন কমিশনার হিসেবে কী কৌশল গ্রহণ করবেন? জানতে চাইলে নবনিযুক্ত ডিএমপি কমিশনার বলেন, জামিন একটি বিচারিক প্রক্রিয়া। একজন অপরাধী আদালত থেকে আইন অনুযায়ী জামিন পেতেই পারে। এ ক্ষেত্রে কিন্তু পুলিশের কিছু করার থাকে না। তবে পুলিশ যেটা করতে পারে সেটা হলো, যদি কেউ অপরাধে জড়িয়ে পড়ে কিংবা উদ্যত হয় বা অপরাধ সংঘঠিত করে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া। আমরা বদ্ধপরিকর অপরাধী ছোট কিংবা বড় কাউকে ছাড় নয়। ব্যবস্থা নিতে ডিএমপি বদ্ধপরিকর। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কঠোর মনিটরিং করতে সকল কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top