রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের মামলা মিথ্যা নয়: বাদীপক্ষ

রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের মামলা মিথ্যা নয়: বাদীপক্ষ

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলা মিথ্যা নয় বলে দাবি করেছে বাদীপক্ষ।

বাদীর আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, মামলাটি মিথ্যা নয়। মিথ্যা হলে ট্রাইব্যুনাল ভিকটিম বাদীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় প্রসিকিউশন দাখিলের নির্দেশ দিতেন।

তিনি বলেন, ঘটনার অনেক দিন পর মেডিকেল পরীক্ষা হওয়ায় সেখানে ধর্ষণের আলামত না আসাই স্বভাবিক ছিল। তাই তারা মামলা চালাতে ভরসা করেছিলেন পারিপার্শ্বিক সাক্ষী ও আসামিদের স্বীকারোক্তির ওপর। মূলত সঠিক তদন্ত না হওয়ায় আজ দুই ভুক্তভোগী ন্যায়বিচার বঞ্চিত হলেন। যার কারণে আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ভর্ৎসনা করেছেন।

ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার বৃহস্পতিবার এ রায়ে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির সবাইকে খালাস দিয়েছেন।

বাকি আসামিরা হলেন সাফাতের বন্ধু সাদমান সাকিফ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল। রায়ের সময় তারা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বাদীর আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, এ মামলার রায়ের পর একজন ভিকটিমের মায়ের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। আমি উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন এ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ। রায়ের কপি পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই মামলায় বিচারে সহযোগিতা করেছি। আদালত চুরচেরা বিশ্লেষণ করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে কী করব ঠিক এখনই বলতে পারছি না।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার বলেন, ঘটনার ৩৮ দিন পর মামলা হলো, চিকিৎসক মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাননি মর্মে মতামত দিলেন, ভুক্তভোগীদের পরিধেয় কাপড়ে কোনো পুরুষের সিমেন্সের কণা পাওয়া যায় নাই। তারপরও তদন্ত চার্জশিট দাখিল করে আদালতের পাবলিক টাইম নষ্ট করেছেন।

তিনি বলেন, এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রেইপ কেসের বিচার ব্যাহত হয়েছে। তিনি অন্য কোনো পক্ষ কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে এই চার্জশিট দিয়ে মামলাটি বিচারের জন্য পাঠিয়েছেন। আজকের দিনসহ এই মামলায় ৯৪ কার্যদিবস ব্যয় হয়েছে।

৭২ ঘণ্টার পর মেডিকেল পরীক্ষা করা হলে যে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায় না, সে কথা তুলে ধরে বিচারক পুলিশকে ওই সময়ের পরে কোনো মামলা না নিতে বলেছেন।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top