সিঙ্গাপুরগামী কর্মীরা বহির্গমন ছাড়পত্র পেতে বিড়ম্বনা হয়রানি খারাপ আচরন ও একই সাথে দিতে হচ্ছে মোটা অংকের টাকা

মাহবুব সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি বিএমইটি,নেপথ্যে ঘুষ বাণিজ্য

মাহবুব সিন্ডিকেটের হাতে  জিম্মি বিএমইটি,নেপথ্যে ঘুষ বাণিজ্য

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) জিম্মি হয়েছে পড়েছে ইসরাত এয়ার ইন্টারন্যাশনাল ( আর এল ১৪৭১) এর মালিক মাহাবুব আলম সিন্ডিকেটের কাছে, নেপথ্যে মোটা অংকের ঘুষ বাণিজ্য, ফলে সিঙ্গাপুরগামী কর্মীরা বহির্গমন ছাড়পত্র পেতে বিড়ম্বনা হয়রানি খারাপ আচরন ও একই সাথে দিতে হচ্ছে মোটা অংকের টাকা।

আবার বহির্গমন ছাড়পত্র না পাওয়ায় অগ্রিম টিকিট কিনে সময়মতো বিএমইটি থেকে ছাড়পত্র পেতে বিলম্ব হলে ক্রয়কৃত বিমানের টিকিটের মূল্য ফেরত না পাওয়া বিদেশগামী কর্মীরা পুনরায় নতুন টিকিট কিনতে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে একই সাথে মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে তারা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগে সিংগাপুর ম্যানপাওয়ার বা বহির্গমন ছাড়পত্র মূলত ৬ এজেন্সির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। সিঙ্গাপুরে যত শ্রমিক গেছে তারা মূলত এই ৬ টি এজেন্সির মাধ্যমে ম্যানপাওয়া বা বহির্গমন ছাড়পত্র পেয়ছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মাহবুবের নিজের লাইসেন্স ইসরাত এয়ার ইন্টারন্যাশনাল এই ৬ টি লাইসেন্সের মধ্যে না থাকলেও অদৃশ্য ক্ষমতাবলে বহাল তবিয়তে তিনি সিঙ্গাপুর ম্যানপাওয়ার বা বহির্গমন ছাড়পত্র দিচ্ছে বিএমইটি।

তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, সৃজিতা ওভারসীজ ( আরএল ১০৬৫) এই ছয়টি লাইসেন্সের একটি এবং চতুর মাহাবুব এই সৃজিতা ওভারসীজের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে চড়া দামে ম্যানপাওয়ার করে আসছেন । বিগত দুই মাসে এই মাহাবুব এক অদৃশ্য ক্ষমতা বলে ৫ টি লাইসেন্সের বিভাগীয় অনাপত্তি সনদ (NOC)  বাতিল করে একক রামরাজত্ব কায়েম করে আসছেন ফলে বাধ্য হয়ে সিঙ্গাপুরে যাওয়া শ্রমিকরা ম্যানপাওয়ার বাবহির্গমন ছাড়পত্র করার জন্য মাহাবুবের দারস্থ হতে হয়, এরফলে বহির্গমন ছাড়পত্র পেতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে বিদেশগামী কর্মীদেরএবং একইসাথে প্রতিটি ম্যানপাওয়ার বাবদ নেওয়া ১৫-১৭ হাজার করে টাকা যা সরকারী ফি ৫ পাচঁ হাজার টাকা । এরকম একাধিক প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। এছাড়া বিদেশগামী কর্মীরা বহির্গমন ছাড়পত্র পেতে মারাত্মক খারাপ ব্যবহারের শিকার হচ্ছেন। এদিকে, অবৈধ মাহবুবের সিন্ডিকেট কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এবং একই সাথে এই টাকার একটি অংশ মাহবুবের বিএমইটির সিন্ডিকেটের চক্রের সহযোগী অসাধু কর্মকর্তার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। বিনিময় পাচ্ছে অবৈধ সুবিধা ফলে তার রয়েছে একক রাম রাজত্ব।

আগে বিদেশগামী কর্মীরা বহির্গমন ছাড়পত্র পেতে সময় লাগত দুই থেকে তিন দিন,এখন সময় লাগে ২০ থেক ২৫ দিন, এর ফলে একইসাথে বিড়ম্বনার শিকার এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিদেশগামী কর্মীরা।
বহির্গমন ছাড়পত্র আসা বিদেশগামী জালাল নামে এক কর্মী বলেন, প্রবাসীরা। দেশের রেমিটেন্স যোদ্ধা। প্রবাস থেকে কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠিয়ে অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন তারা। অথচ তাদেরই হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বিদেশে যেতে এবং ফিরতে দুর্ভোগের শেষ নেই । বিএমইটির বহির্গমন ছাড়পত্র পেতে মারাত্মক হয়রানির শিকার হচ্ছি।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top