227

04/20/2024 বিআরডিবি'র নান্নুর পরকিয়ায় নিঃস্ব প্রবাসী

বিআরডিবি'র নান্নুর পরকিয়ায় নিঃস্ব প্রবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ আগস্ট ২০২২ ১৯:১৯

দারিদ্রতাকে জয় করার স্বপ্ন নিয়ে বিদেশে যান ভাগ্য বদলের আশায় রেমিট্যান্স যোদ্ধা বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার আমিনুল ইসলাম। এক মাত্র ছেলে সন্তান ও স্ত্রীর অধিক সুখের কথা চিন্তা করে ২০১২ সনে চলে যান মালয়েশিয়াতে। সাত বছর প্রবাসে সময় কাটিয়ে ২০-০৬- ২০১৮ তে দেশে আসে আমিনুল ইসলাম। ফিরে এসে দেখেন স্ত্রী পরকিয়ার টানে ঘর ছেড়েছেন (১২) বার বছরের এক মাত্র সন্তান সহ তহমিনা রহমান হ্যাপি।দুষ্ট স্ত্রী এবং বিআরডিবির সহকারি পরিচালক নান্নু মিলে হাতিয়ে নিয়েছে অর্ধ কোটি টাকা। এ ছাড়াও আমিনুল ইসলাম প্রবাসে থাকাকালীন তহমিনা রহমান হ‍্যাপির কাছে স্বর্নালংকার ও নগত সাইত্রিশ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছে।সেই টাকা ও স্বর্নালংকার নান্নু ও আমিনুলের স্ত্রী হ‍্যাপির যোগসাজসে আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও আমিনুল ইসলামের বাসার ফার্নিচারসহ দখল করে এখন থাকেন ঘর জামাই। এভাবেই স্ত্রী সন্তান অর্থ ও সম্পদ হারিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রেমিট্যান্স যোদ্ধা আমিনুল।

অনুসন্ধানে জানা গেছে,, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের সহকারি পরিচালক মাহবুবুল কবির নান্নু। রেমিট্যান্স যোদ্ধা আমিনুল ইসলামের স্ত্রীকে ছেলে সন্তানসহ ফুসলিয়ে বিয়ে ও পরকিয়াসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। অবশেষে আমিনুলের জমানো অর্থের লোভ সামলাতে না পেরে দশ লক্ষ এক টাকা দেনমোহর ধার্য করে তহমিনা আক্তার হ্যাপিকে বিধবা দেখিয়ে ২৬-০৬-২০২০ইং তারিখ অবৈধ ভাবে ভুয়া কাবিন নামা করেছে মাহবুবুল কবির নান্নু। যা কাজী অফিসের রেজিস্টি সম্পাদনের অভিযোগের সত্যতা অকট্যভাবে প্রমাণিত। যা ফৌজদারী কার্যবিধিতে দন্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়াও আমিনুল ইসলাম প্রবাসে থাকাকালীন তহমিনা রহমান হ্যাপির কাছে স্বর্নালংকার ও নগত টাকা অর্ধকোটি টাকা পাঠিয়েছে। সেই টাকা ও স্বর্নালংকার নান্নু ও আমিনুলের স্ত্রী হ্যাপি আত্মসাৎ করেন।

এছাড়াও মাহবুবুল কবির নান্নুর বিবাহিত স্ত্রী জিন্নাত জাহান তুলির কলাবাগান থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলায় মাহবুবুল কবির নান্নু ৭৩ দিন জেলও খেটেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড মাহবুবুল কবির নান্নুর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ এর ১১ (খ) ৩০ ধারার অভিযোগের কারণে গ্রেফতার হওয়ায় বিআরডিবির কর্মচারী চাকুরী বিধান মালায় ১৯৮৮ এর উপবিধান ৪৫ (৫) মাহবুবুল কবির নানুকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু মাহবুবুল কবির নান্নু তৎকালীন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আঁতাত করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে বেতন, ভাতা, বোনাস ও নিতেন শুধু তাই নয় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা বিআরডিবি থেকে অবৈধ ভাবে ৬% সুদে গৃহঋণ নিয়ে ১১% সুদে সঞ্চয়পত্র কিনে সরকারের কাছ থেকে ৫% এক্সটা এক্সটা সুদ ও নিচ্ছেন এই প্রতারক  সহকারি পরিচালক নারী লোভী মাহবুবুল কবির নান্নু।

 এবিষয়ে,ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম বলেন, মাহবুবুল কবির নান্নু ও আমার স্ত্রী তাহমিনা রহমান হ্যাপি আমার পরিশ্রমের অর্জিত সম্পূর্ণ টাকা-পয়সা নিয়ে আমাকে এখন পথে নামিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও তাহমিনা রহমান হ্যাপি এখন পর্যন্ত আমার স্ত্রী। আমি স্ত্রী কর্তৃক আমি একটি ভুয়া ডিভোর্স এর চিঠি পাই। নানু প্রতারণার মাধ্যমে জালজালিয়াতি করে আমার স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করছে বিধবা মহিলা বানিয়ে আবার ২৮/৬/২০ তারিখে নান্নু হ্যাপি দম্পতির বিয়ের দুই দিন পরে আমাকে একটা ভুয়া তালাকনামা পাঠান। এছাড়াও আমার একমাত্র সন্তান আদিয়াত ইসলাম তাহসিনকে ভয় "ও হ্যাপি দম্পতি আমার ভীতি দেখিয়ে নান্নু ও সন্তানকে খারাপ বানানোর পাঁয়তারা চালাচ্ছে নান্নু স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য মালামালসহ মোট ৫০ লাখ টাকা ও আমার সম্পদের লোভে ভুয়া জাল জালিয়াতি করে ৫ থেকে ছয়টি দলিল বানিয়ে অন্যায় ভাবে আমার স্ত্রীকে লিভ টুগেদার করতেছে। আমি একজন পরিশ্রমী অসহায় ও হতভাগা রেমিটেন্স যোদ্ধা আমি নিঃস্ব হয়ে অসহনীয় অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছি।

অভিযোগের বিষয়ে মাহবুবুল কবির নান্নুর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাহমিনা রহমান হ্যাপি আমার বিবাহিত স্ত্রী কাবিননামা জাল জালিয়াতির বিষয় জানতে চাইলে নান্নু প্রথমেই নিজেকে সাবেক সাংবাদিক বলে দাবি করে, অপরাধের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে প্রথমেই তিনি মামলার হুমকি ধামকি দেয়।তখন এই প্রতিবেদক সরাসরি বলেন, আমার কাছে সব ধরণের ডকুমেন্ট আছে আপনি মামলা করেন,আদালতে দেখা হবে। এই বলে মোবাইল ফোনটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এদিকে প্রতারক নান্নু প্রতারণা করে কৌশলে স্ব-মন্ত্রনাল‌য়ের অনুম‌তি ব্যতিরেখে সচিবালয়ের স্থায়ী পাশ নিয়ে অবাধে সচিবালয় প্রবেশ করে এবং বি‌ভিন্ন বদলী নি‌য়োগ এবং তত‌বির বা‌নিজ্যের করার অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, নান্নুর কোন চরিত্র নেই, তিনি সব ধরণের অপকর্মের সাথে জড়িত।
এবিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড মহাপরিচালক মো: সাহেদ আলী বলেন, বিষয়টি আমার নজরে নেই,তথ্য প্রমাণসহ অভিযোগ দেন, অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো।

সম্পাদক:
যোগাযোগ: ৩২/২, প্রিতম জামান টাওয়ার, (১১ তলা), পুরানা পল্টন, ঢাকা - ১০০০
মোবাইল: +৮৮ ০১৭৮৭ ৩১৫ ৯১৬
ইমেইল: infobanglareport@gmail.com