রাজধানীর রামপুরা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহিনের উপর সন্ত্রাসী হামলা করেছে । এসময় তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন।।

গতকার রবিবার সন্ধা ৭ টার সময় রামপুরা বনশ্রীস্থ তার উপর হামলার এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারী সন্ত্রাসীরা হলেন, খালেদ সাইফুল্লাহ ফরিদ, এর আর ফয়সাল ও রাহাত। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এর এলাকায় বিভিন্ন ধরণের অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় রামপুরা থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

প্রস্তুতিমূলক মামলার এজাহারে জানা গেছে, আমি এস এম মাহিন রিক্সাযোগে বনশ্রী ডি- ব্লক থেকে বি-ব্লকে যাওয়ার পথে সন্ধ্যা অনুমান ০৭ টার সময় রামপুরা থানাধীন রোড-৫, ব্লক- সি, বনশ্রীস্থ দুরন্ত টেইলার্স এর সামনে পৌছা মাত্র উপরোক্ত বিবাদীরা মোটরসাইকেল যোগে এসে আমার পথ রোধ করে। আমি কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই উপরোক্ত ১নং বিবাদী তার মোটরসাইকেল থেকে নেমে আমাকে কিল ঘুষি মেরে আমার শরীরের বিভিন্ন অংশে নীলা ফুলা জখম করে। এরপর ১নং বিবাদী আমাকে ধরে রাখে এবং ২নং ও ৩নং বিবাদীদ্বয় পুনরায় আমাকে কিল ঘুষি মারতে থাকে। ১নং বিবাদী তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে আমার ঘারে গুরুতর আঘাত করে। এরপর ২নং ও ৩নং বিবাদীদ্বয়ের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আমার ডান হাতের কব্জি সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে। আমি পাকা রাস্তার উপর পড়ে গেলে আমি পাকা রাস্তার উপর পড়ে গেলে অজ্ঞাতনামা অন্যান্য বিবাদীরা আমাকে কিল ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। আমি বাঁচার জন্য ডাক চিৎকার করিলে আশপাশের লোকজন আমাকে বাঁচানো এগিয়ে আসলে বিবাদীরা আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এরপর আমি আমার বন্ধু রবিউল ইসলাম রবি এর সহযোগীতায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিলে চিকিৎসা গ্রহন করি। চিকিৎসা শেষে আমার পরিবারের লোকজনের সহিত আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া এজাহার দায়ের করিতে বিলম্ব হইল । 

এ বিষয় রামপুরা থানার ওসি বলেন, আমরা বিষয়টি অবগত রয়েছি। এ ঘটনায় থানায় এখনো মামলা হয়নি। মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।