নৌকা ডুবাতে মরিয়া যুবলীগ নেতা জাফর!

নৌকা ডুবাতে মরিয়া যুবলীগ নেতা জাফর!

পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যশোর অভয়নগর উপজেলার ৮ নং সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে।
দলীয় প্রার্থী খান এ কামাল হাসানকে হারানোর জন্য যুবলীগ নেতা জাফর শেখ ও তার নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে সিদ্ধিপাশা বিএনপি নেতা ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কাসেমের পক্ষে কাজ করছেন।

জানা যায়, যু্বলীগ নেতা জাফর শেখ গতবারের মতো এবারো নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন , নোকা না পেয়ে প্রতিবারের মতো এবারও নৌকাকে ডুবাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

স্থানীয়রা জানান, জাফর শেখ এক সময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ভোল পাল্টিয়ে যুবলীগের রাজনীতিতে এসে রাতারাতি ত্যাগি নেতা বনে গেছেন। স্থানীয় রাজনীতে তাকে সবাই প্রতারক সাহেদ হিসেবে চিনে। কিন্তু তিনি প্রকাশ্যে নৌকা বললেও গোপনে জামায়াত বিএনপির হাত শক্তিশালী করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতারা বলেন, চতুর জাফর মূলত আওয়ামী লীগের উর্ধ্বতন এক প্রভাবশালী নেতার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে বিএনপি এবং জামায়াতকে শক্তিশালী করছে। নেতারা আরো বলেন, জাফর ৮ নং সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের জামায়াত বিএনপির এজেন্ট হিসাবে কাজ করে চলেছে। প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ বললেও, গোপনে বিএনপি জামায়াত সক্রিয় করছেন। এছাড়াও জাফর শেখ সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের শতাধিক মানুষের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এবং যে টাকা চাইতে যায় তাকে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে মুখ বন্ধ করে দিয়েছে তবে এখন অনেকেই মুখ খুলতে শুরু করেছে।

নৌকা ডুবাতে মরিয়া যুবলীগ নেতা জাফর!

 

এদিকে, জাফর শেখ গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে চশমা নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন এবং এরপর বিগত উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে আনারস প্রতিকের নির্বাচন করেন। তার টার্গেট যেকোনো উপায়ে নৌকাকে ডুবাতে হবে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, জাফরের ভাই ফরিদ শেখ শিবিরের ক্যাডার(২০০১-২০০৫) বর্তমানে তিনি জামায়াতের রোকন এবং জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ারের অন্যতম সহযোগী। জাফরের আরেক ছোট ভাই জাহাঙ্গীর শেখ যুবদলের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক এছাড়া জাফরের অন্যতম সহযোগী কুখ্যাত রাজাকার মান্দার শেখ , আরেক সহযোগী হাবিব গাজী রাজাকার আজিদ গাজী ১৯৭১ সালে রাজাকার আজিদ গাজী মিত্রবাহিনীর হেলিকপ্টারে প্রকাশ্যে গুলি করে এবং এজন্য মুক্তিযোদ্ধারা তাকে প্রচন্ড মারধর করেন এবং হাবিব গাজী প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করায় এলাকায় জনগনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

জাফরের আরেক ক্যাডার হিসাবে খ্যাত সাবেক ছাত্র শিবিরের ক্যাডার সুমন বিশ্বাস, তার বাহিনী প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করে ইউনিয়নবাসির মনে ক্ষোভের জন্ম দেয় এবং পরবর্তীতে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেও নৌকার পক্ষের কর্মীদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভয়ভীতি দেখানো অব্যহত আছে। এবিষয়ে স্থানীয় পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ নজরুল ইসলামকে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেন নাই।

অন্যদিকে, অভয়নগর থানা যুবলীগ এবং অভয়নগর থানা আওয়ামীলীগ প্রতিবারের মতো এবারও হুঙ্কার দিয়েছে নৌকার বিরোধীতা করলে সংগঠন থেকে বহিস্কার করবে বাস্তবে কোন পদক্ষেপই দৃশ্যমান না হওয়ায় শাহেদ , জাফরের মতো অনুপ্রবেশকারী দিন দিন বেড়েই চলেছে যা পরবর্তীতে দলের জন্য ভংঙ্কর বিপদ ডেকে আনবে বলে মনে করেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যশোরের বিভিন্ন থানায় আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের বিদ্রোহী নেতাকর্মীদের বহিস্কার করলেও জাফর শেখের ব্যাপারে অদৃশ্য ক্ষমতাবলে নিরব।
এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা যুবলীগের আহব্বায়ক তামিল হোসেন কয়েক ফোন করলে ওয়েটিং পাওয়া যায়, পরবর্তী ফোন ধরলেও জাফর শেখের অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন কেটে দেন।

 

 

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top